বিস্তারিত জেনে নিন নিম পাতা খেলে কি উপকারিতা হয় এবং নিমপাতার গুনাগুন, অপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সম্বন্ধে বিশেষ স্বাস্থ্য উপকারী টিপস.
নিম পাতার সারাবিশ্ব জুড়ে সুখ্যাতি রয়েছে। নিমের গাছের পাতা, ডাল, ছাল সকল কিছুর ওষুধি গুণ যা মানুষ প্রাচীনকাল হতে ব্যবহার করে আসছে। নিমগাছ এশিয়ার মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশের সর্বত্র দেশেই পাওয়া যায়। এটি রোগ নিরাময়, রোগ প্রতিরোধ, বাহ্যিক ব্যবহার ,ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরূদ্ধে কাজ করে। বর্তমানে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পনিগুলো নিমগাছের বিভিন্ন উপাদান দিয়ে অনেক ওষুধ তৈরি করেছে যা মানুষের জন্য বেশ ফলদায়ক।
নিমপাতার প্রচুর গুণাগুণ আছে। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে তুলসী পাতা ও নিমপাতাকে সার্বরোগের নিবারণী বলে অভিহিত করা হয়। নিম পাতার অজস্র উপকারিতা আছে তা আপনি আমি উভয়ই জানি, কিন্তু কোন রোগ প্রতিরোধে খাচ্ছেন এবং কতদিন ও কীভাবে খাওয়া উচিত সেটা সঠিক ভাবে না জেনে যদি খান তাহলে উপকারের বদলে অপকার হবে, যে ক্ষতি আপনি নিজেই পূরণ করতে পারবেন না।
এখানে আপনি নিম পাতার সম্বন্ধে যে বিষয় গুলো জানতে পারবেন সেগুলো হল…
- নিম পাতা খেলে কি উপকারিতা
- নিমপাতার গুনাগুন ও উপকারিতা
- নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
- নিম পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন
এখন আমরা জানবো নিম পাতার উপকারিতা সম্বন্ধে। কোন রোগে কতটা নিমপাতা খাওয়া উচিত ও কতদিন খাওয়া উচিত এবং নিম পাতা খেলে আমাদের শরীরে কি কি লাভ হবে তাও জানবো
১. ক্যান্সার নিরাময়ে
বর্তমানে ভারতে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে আমাদের মাঝে সব বয়সের মানুষদেরই নিয়মিত নিম পাতা খাওয়ার অভ্যাস করা প্রয়োজন।কেননা নিমপাতায় রয়েছে পলিস্যাকারাইডস এবং লিওমনোয়েডস নামক দুটি উপাদান যা আমাদের রক্ত থেকে ক্যান্সার ও টিউমার-এর কোষকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে। তাছাড়া নিমপাতায় থাকে প্রোটিন গ্লাইপোপ্রোটিন নামক রোগ প্রতিরোধক উপাদান যা শরীরের ক্যান্সারের জীবাণু ধ্বংস করে, দেখা গিয়েছ, স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় নিম কার্যকর হয়েছে।
২. রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে
ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে নিমপাতা একদম ওষুধের মতো কাজ করে। প্রতিদিন দুই চামচ নিমপাতার রস একগ্লাস জলের সাথে মিশিয়ে পান করুন এতে আপনার শরীরে রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
৩. রক্ত পরিষ্কার করতে
নিম পাতায় থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান রক্ত পরিশুদ্ধ করে। শরীরের রক্ত নালীতে জমে থাকা টক্সিন ও খারাপ কোলেস্টরলকে কমিয়ে আপনার হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করবে নিমপাতা। ফলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকখানি কমে যাবে।
৪. জন্ডিস সমস্যা
রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন ১০থেকে ২০ ফোটা নিম পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে পান করলে জন্ডিস এক মাসের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে।
৫. ভাইরাস প্রতিরোধে
এশিয়াতে ভাইরাস প্রতিরোধে নিমপাতার ব্যবহার আদিকাল থেকে হয়ে আসছে। বসন্ত, ফক্স, হাম বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগে নিমপাতার ব্যবহারে ভালো ফল মিলে।এছাড়া সিদ্ধ নিমপাতার জল আপনাকে অনেকখানি রোগমুক্ত রাখবে।
৬. এলার্জি সমস্যা
এলার্জি হলে নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে প্রতিদিন গোসল করুন। দেখবেন এলার্জি আপনার থেকে অনেক দূরে থাকবে। তাছাড়া নিম পাতার রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেলে এলার্জির সমস্যা দূর হয়।
৭. বাত ব্যথা দূর করতে
বর্তমানে বাজারে নিম পাতার তেল পাওয়া যাচ্ছে। এই তেল বাত ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকর।তাছাড়া আপনি নিমপাতা বেটে সরিষার তেলের সাথে গুলিয়ে আক্রান্ত স্থানে মালিশ করলে উপকার পাবেন।
৮. চুলকানি বা ইচিং
চুলকানির সমস্যা হলে নিমপাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানিতে গোসল করলে কয়েক দিনের মধ্যে সমস্ত চুলকানি ও খোসপাঁচড়া দূর হয়ে যায়। এছাড়াও নিমপাতা হলুদের সাথে মিশিয়ে বেটে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে চুলকানি দূর হবে।
৯. কৃমিনাশক
ছোট বড় সমস্ত মানুষের কৃমির সমস্যা দেখা যায়। তবে ছোটরাই কৃমির সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়। এ জন্য সামান্য নিম গাছের ছাল গরম জলে সিদ্ধ করে এক চিমটি লবণ দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় দিন খান দেখবেন কৃমি দূর হয়ে যাবে।
১০. ব্রণ দূরীকরণে নিমপাতার ব্যবহার
মুখে ব্রণ হলে চেহারার সৌন্দর্য একেবারে খারাপ হয়ে যায়। এটি সহজে ভালো হতে চায়না। ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে ব্রণ হলে নিমপাতার রস হালকা করে সারা মুখে লাগিয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা রেখে দিন তারপর ধুয়ে ফেলুন। একদিন ছাড়া ছাড়া পনেরো দিন ব্যবহার করুন অনেকটাই ফল পাবেন।
১১. ওজন কমাতে
অনেক মানুষ আছেন যারা ওজন নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছেন। ওজন না কমার সবচেয়ে বড় কারণ হল লো মেটাবলিজম। নিমপাতার রস আপনার মেটাবলিজম কমার থেকে অনেকখানি বাড়াতে সাহায্য করবে। এজন্য আপনার মেটাবলিজম বাড়াতে প্রতিদিন খালি পেটে তিন থেকে চার ফোঁটা নিম পাতার রস খান।
১২. লিভারের স্বাস্থ্যরক্ষায় নিম পাতার উপকারিতা:
লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে নিমের পাতা ও ফুল। এগুলি লিভার কারসিনোজেনেসিসে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলে, যার ফলে লিভারের যেকোনো ধরনের সমস্যায় নিমপাতার ব্যবহার প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব প্রদান করে থাকে।
চুলের সমস্যায় নিমের পাতার কার্যকারিতা
নিমপাতায় থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান চুলের বিভিন্ন সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকার পালন করে। নিমের গুনে চুলের যে সমস্যা গুলি দূর হবে তা হল
- চুল পড়া বর্তমানে চুলপড়া নিত্যদিনের সমস্যা। তাই আপনার চুলকে দিন নিমের গুণ। নিমপাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে চুলে লাগিয়ে দুই ঘণ্টা রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই চুল পড়া দূর হবে। তাছাড়া নিম গাছের ছালকে ভিজিয়ে সেই জল চুলের ভিতরে দিন অনেকটাই চুল পড়া রোধ হবে। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন লাগান অবশ্যই চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- খুশকি দূর করতে: নিমপাতার ব্যাকটেরিয়া নাশক গুণ থাকার কারণে খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এ জন্য গোসল করার পূর্বে নিমপাতার রস সারা মাথায় লাগিয়ে নিন এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন দেখবেন খুশকি অনেকখানি কমে যাবে।
- উকুন বিনাশে: আপনি এত শ্যাম্পু ও ওষুধ ব্যবহার করছেন তবুও উকুন যাচ্ছে না?তাহলে এক চামচ নিমপাতা বাটা ও নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথায় মেখে নিন এরপর ধুয়ে ফেলুন।দুই-তিনদিন করলেই উকুন পালিয়ে যাবে।
নিম পাতার ব্যবহার
আয়ুর্বেদের বইতে যা লেখা আছে সেটাই আজ বলবো।দৈনন্দিন জীবনযাত্রার পদ্ধতিতে নিমপাতার ব্যবহার করতে পারেন। আপনার জন্য প্রথম সাবধানতা কোনো রোগের জন্য সাতদিনের বেশি নিমপাতা ব্যবহার করবেন না। তাহলে জেনে নিই নিমপাতার ব্যবহার কোন রোগে কিভাবে করবেন
১. ডায়াবেটিস ক্যান্সার হজম সংক্রান্ত সমস্যা উচ্চ রক্তচাপ এ ধরনের সমস্যা গুলোর ক্ষেত্রে নিমপাতার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
২. সকালবেলা খালি পেটে নিমপাতার ব্যবহার করতে পারেন কিংবা খাদ্যতালিকায় নিমপাতা সিদ্ধ রাখতে পারেন।
৩. দৈনিক নিমপাতার গ্রহণ করার ফলে শরীর জীবাণু মুক্ত থাকবে। তাই প্রতিদিন নিম পাতার গ্রহণ করতে পারেন।
৪. যারা হাঁপানির সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন কয়েকফোঁটা নিম তেল পান করতে পারেন।
৫. যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিমপাতা সিদ্ধ খাদ্যতালিকায় রাখুন।
৬. দাঁত ও মাড়ির ক্ষেত্রেও নিমপাতার ব্যবহার হয়ে থাকে।তবে অবশ্যই নিমপাতা ব্যবহার করার আগে আপনার রোগ অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। নিম সর্বসম্মতভাবে আপনাকে স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং সুন্দর থাকতে সহায়তা করবে।
নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলে নিমপাতা এমন একটি শক্তিশালী ভেষজ ওষুধ যা কখনোই পরপর সাত দিনের বেশি সেবন করা উচিত নয়। আয়ুর্বেদিক ডাক্তারেরা সবসময় এ বিষয়ে সাবধান করে থাকেন, কারণ আপনি যদি সাত দিনের বেশি নিমপাতা খান তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন রকম এলার্জি দেখা দিতে পারে। পুরুষদের সমস্যা আসতে পারে। এছাড়াও সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার আপনার চোখের দৃশ্যমানতা বা দেখার শক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
তাই আপনি যদি সাত দিন পর পর নিমপাতা খান তো পরের সাতদিন আর খাবেন না। খাওয়ার দরকার হলে তবেই খাবেন নচেত খাবার দরকার নেই। আপনার রক্ত যদি অপরিষ্কার হয় তাহলে আপনি মাসে একবার কি দুবার খেলেই যথেষ্ট।
আপনার রক্ত পরিষ্কার আছে কিনা কি করে বুঝবেন? যদি আপনার শরীরে বিভিন্ন রকম ফুসকুড়ি বা স্কিন ডিজিজ দেখা দেয় তাহলে বুঝবেন যে আপনার রক্ত অপরিষ্কার আছে।
রক্ত পরিষ্কার করার জন্য আপনি সর্বাধিক পরপর পাঁচদিন নিম পাতা খেতে পারেন। কিন্তু এর বেশি খাবেন না। নিমপাতায় থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আপনার শরীরে রক্ত পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে।
আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগ ভালো করার জন্য নিমপাতা খান তাহলে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন খান, কিন্তু পরপর দশ দিন খাবেন না। চেষ্টা করবেন কচি নিমপাতা খাওয়ার জন্য কারণ কচি নিমপাতায় থাকে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান যা পুরানো নিমপাতার চেয়ে অনেক বেশী কার্যকরী ও লাভজনক।
আপনার যদি হাই ব্লাড প্রেসার থাকে তাহলেও আপনি অবশ্যই নিম পাতা খেতে পারেন কিন্তু আপনার যদি লো ব্লাড প্রেসার থাকে আপনি নিমপাতা খাবেন না। নিমপাতা কে এড়িয়ে যাবেন।
আর ষোলো বছরের নীচের বাচ্চাদের আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিমপাতা খাওয়াবেন না। কারণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই সমস্ত বাচ্চাদের মধ্যে নিমপাতার মধ্যে থাকা একটি পদার্থ বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে, দুর্বলতা বা মস্তিষ্কের ব্যাতি ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারে।
আরও জেনে রাখুন, কোন প্রেগনেন্ট মহিলাকে নিমপাতা খাওয়ানো উচিত নয় এবং কোন মহিলা যদি মা হতে চাই সে পরিস্থিতিতেও নিমপাতা খাওয়া উচিত নয় কারণ নিমপাতা শুক্রাণুকে বাধা দেয়। প্রেগনেন্সির সমস্যাকেও ডেকে আনে। আপনি যদি স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ হন তাহলে দুটির বেশি নিমপাতা খাবেন না।
নিমপাতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও অপকারিতা
গাছগাছরা ও ফলমূলের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে অস্বীকার এবং উপেক্ষা করার কোনো কারণ নেই, বরং গাছপালার ভেষজ গুণকে কাজে লাগিয়েই আধুনিক চিকিৎসা জগৎ গড়ে উঠেছে, আর এর প্রমাণ আমরা বিভিন্ন চিকিৎসা ক্ষেত্রে লক্ষ্যও করেছি। কিন্তু আমরা যে ভেষজ ওষুধ তৈরি করছি এবং যে মাত্রায় সেবন করছি সেটা যদি সঠিক না হয় তবে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
নিমের অতিরিক্ত রাসায়নিক উপাদান গুলি হল প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-সি, অ্যামাইনো এসিড এবং ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি।
এবার জেনে নিই বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও বিজ্ঞানসম্মত তথ্য অনুসারে অতিরিক্ত নিম পাতার ব্যবহার বা খেলে কি কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ক্ষতি হতে পারে।
১. প্রাপ্ত বয়স্ক লোক এক মাসের বেশিদিন নিমজাত দ্রব্য খেলে কিডনি ও লিভারের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
২. শিশুরা নিমের বীজ বা তেল গ্রহণ করলে এক ঘণ্টার মধ্যেই মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে যেমন বমি, ডায়রিয়া, চটকা বা ড্রসিনেস, হৃদরোগ, ব্লাড ডিসঅর্ডার ও ব্রেন ডিসঅর্ডার, জ্ঞান হারিয়ে ফেলা এবং মৃত্যুও হতে পারে।
৩. মায়েরা বাচ্চাদের স্তন পান করানো অবস্থায় নিম না খাওয়াই উচিত।
৪. গর্ভবতী মহিলারা এক মাসের বেশি সময় নিম খেলে গর্ভস্রাব হতে পারে।
৫. অতিরিক্ত নিম খেলে সুগারের মাত্রা খুব বেশি কমিয়ে দিতে পারে এই জন্য সুগার পরীক্ষা করে নিম খেতে হবে।
৬. নিম বাচ্চাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বা ফার্টিলিটি কমিয়ে দিতে পারে।
৭. অঙ্গ প্রতিস্থাপন ও যেকোনো অপারেশনের দুই সপ্তাহ আগে থেকেই নিম গ্রহণ করা উচিত নয়।
তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত নিমপাতার সঠিক ব্যবহার করুন ও সুস্থ থাকুন এবং এই স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় টিপস গুলো শেয়ার করে এই অপরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করুন।বিস্তারিত জেনে নিন নিম পাতা খেলে কি উপকারিতা হয় এবং নিমপাতার গুনাগুন, অপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সম্বন্ধে বিশেষ স্বাস্থ্য উপকারী টিপস.